রাকিব শান্ত, ব্যুরো প্রধান, উত্তরবঙ্গঃ আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা ফুটবল বিশ্বকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। গত বুধবার নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সে মারা যান। বিশ্বজয়ী কিংবদন্তি এই তারকার মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ গোটা ফুটবল বিশ্ব।
ম্যারাডোনা ব্যক্তি জীবনে যেমন সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন তেমনি বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি। তিনি প্রায়ই থাকতেন খবরের শিরোনামে। তবে শেষ কিছুদিন অসুস্থতা নিয়েই বারবার শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। তার একটি অদ্ভুত শখও ছিল। ম্যারাডোনা একইসঙ্গে দুই হাতে দুই ঘড়ি পরতেন। প্রশ্ন হচ্ছে কিন্তু কেন?
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি সান জানিয়েছে, একটি ঘড়িতে থাকতো তার জন্মস্থান আর্জেন্টিনার সময় আর অন্যটিতে তিনি যেখানে অবস্থান করতেন তার স্থানীয় সময়।
দিয়াগো আরমান্দো ম্যারাডোনা একজন খেলোয়াড় যিনি ফুটবলকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছিলেন । তিনি মাঠের খেলায় ততটাই বিখ্যাত ছিলেন, যতটা আবার মাঠের বাইরে কুখ্যাতি অর্জন করেন নানা কারণে। তিনি যা কিছু করেছেন নিজের মত করেই করেছেন। হোক সেটা ভুল কিংবা শুদ্ধ।
তার অবিশ্বাস্য প্রতিভা, ফুটবল সুক্ষদর্শিতা এবং এই খেলাটির প্রতি ভালোবাসা কখনোই অস্বীকার করার মত নয়। তার মত কিংবদন্তির কারণে ফুটবল আরও এগিয়ে গিয়েছে এবং আমাদেরকে আরও বিস্মিত করে তুলেছে। দিয়েগো, তোমার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।’
সর্বকালের সেরাদের একজন ফুটবলার হিসেবে বিবেচিত ম্যারাডোনার নেতৃত্বে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। টুর্নামেন্টে তার জাদুময় পারফরম্যান্স মন ভরিয়ে দিয়েছিল সমস্ত ফুটবল প্রেমীদের।
ক্লাব পর্যায়ে তিনি বার্সেলোনা অধ্যায় শেষে যোগ দেন নাপোলিতে। এখানেও নিজের একক নৈপুণ্যে ইতালিয়ান ক্লাবটিকে দু’টি লিগ শিরোপা জেতান ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেছেন তিনি। তিনি খেলেছেন ৪টি বিশ্বকাপে।
ম্যারাডোনার নেতৃত্বে ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপেও ফাইনালে খেলে আর্জেন্টিনা। তবে সেবার তারা হেরে যায় পশ্চিম জার্মানির কাছে। পরে ১৯৯৪ সালের যু্ক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় তাকে নিষিদ্ধ করা হয়।